ক্ষতিপূরণে স্বজনপোষনের অভিযোগ ! দোতলা দালান বাড়ির মালিক পেলেন আমফানে ক্ষতিপূরণের টাকা

29th September 2020 9:40 am বর্ধমান
ক্ষতিপূরণে স্বজনপোষনের অভিযোগ ! দোতলা দালান বাড়ির মালিক পেলেন আমফানে ক্ষতিপূরণের টাকা


আমিরুল ইসলাম ( ভাতার ) :  আম্ফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে কাঁচা বাড়ি। সেই মতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ক্ষতিগ্রস্ত সেই কাঁচা বাড়ি গুলি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন।  পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের মাহাচান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের পারহাট গ্রামে ধরা পড়ল অন্য ছবি।  অভিযোগ, পারহাট গ্রামের বাসিন্দা শম্ভু ঘোষের দোতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আমপানের ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছে অথচ ওই একই গ্রামের বাসিন্দা সন্ধ্যারানী মাঝি ,দেবেন দাস এদের কাঁচা বাড়ি সম্পূর্ণভাবে আম্ফান ঝড়ের  সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ক্ষতিপূরণের টাকা পান নি। এই নিয়ে তারা ভাতার বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ভাতার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক  শুভ্র চ্যাটার্জী অভিযোগটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন । পারহাট গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতি অশোক মাঝি জানান শম্ভু ঘোষ তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হওয়ায় দোতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছে।  অন্যদিকে তৃণমূলের বুথ সভাপতি কালু রাম ঘোষ ,জানান আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস দলের কোনো সম্পর্ক নেই ।  সরকারিভাবে খোঁঁজ নেওয়ার পর ই  তারা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। দোতলা বাড়ির মালিক শম্ভু ঘোষ  জানান, আমার দোতলা বাড়িটি ক্ষতি হয়নি ঠিকই, আমার বাড়ির লাগোয়া একটি চালাঘর সহ খড় কাটার যন্ত্র এবং ধান ঝাড়াই মেশিন ক্ষতি হয়েছে । আমি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য তাই সরকার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।  তবে আমফানের ক্ষতিপূরণের অনিয়মে ক্ষোভে  ফুঁসছে এলাকাবাসী । আমফানের ক্ষতিগ্ৰস্থদের তালিকা নিয়ে স্বজনপোষন চলছে বলে ইতিপূর্বেও একাধিকবার অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলি । কিভাবে সরকারী নজরদারি বা খোঁজ নেওয়ার পরেও দোতলা দালান বাড়ির মালিক ২০ হাজার টাকা পেল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন । ত্রিপল দিয়ে আচ্ছাদন তৈরী করে যারা কোনরকমে দিন কাটাচ্ছে তাদের কাছে পৌঁছালো না ক্ষতিপূরণের টাকা । ক্ষোভ দানা বাঁধছে গোটা এলাকায় ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।